Form পূরণ করার সময় Pin/Security Code ইচ্ছে মতো দিলে হবে এবং Pin/Security Code অবশ্যই মনে রাখতে হবে।
অনলাইনে এখানে উল্লেখিত Admission Form বাটন হতে স্টুডেন্ট ভর্তি ফর্ম পূরণের পর তা ৪ কপি প্রিন্ট করে নিম্নে নির্দেশনাবলীতে উল্লেখিত কাগজপত্র সংযুক্ত করে কলেজে জমা দিতে হবে। | ||
নির্দেশনাবলী | ||
ভর্তির আবেদন ফরমের সাথে নিম্নলিখিত কাগজপত্র জমা দিতে হবেঃ | ||
১। | এস.এস.সি পাসের নম্বরপত্রের মূল কপি এবং নম্বরপত্র , প্রশংসা পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি প্রতিটির ২(দুই) কপি | |
২। | পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি ০৫ ( পাঁচ ) কপি এবং স্ট্যাম্প সাইজের ছবি-০২ কপি । | |
৩। | শিক্ষার্থীর জন্ম সনদের ( ১৭ ডিজিটের অনলাইন কপির ) সত্যায়িত ফটোকপি- ০১ কপি । | |
৪। | পিতা মাতা/অভিভাবকের জাতীয় পরিচয় পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি -০১ কপি করে। | |
৫। | কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কোটার সনদ ও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে ওয়ারিশন সার্টিফিকেটের ০২ কপি সত্যায়িত ফটোকপি। | |
৬। | শিক্ষা বিরতি থাকলে ১ম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা কর্তৃক পাঠ বিরতি সনদপত্র ০১ কপি। | |
৭। | ১০" X ১২" সাইজের খামের উপর শিক্ষার্থীর নাম , বিভাগ, ঠিকানা, ৪র্থ বিষয়, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার লিখতে হবে। |
![]() |
![]() |
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ বৃহত্তর দিনাজপুর এর সর্ববৃহৎ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দিনাজপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র দক্ষিণ বালুবাড়ী এলাকায় কলেজটি অবস্থিত। কলেজটি ১৯৭৯ সালে সরকারিকরণ করা হয়। কলেজটিতে বর্তমানে এইচ.এস.সি, ডিগ্রি পাস এবং ৬ (ছয়)টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু আছে। কলেজটির শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০০০ জন।
অত্র কলেজ দিনাজপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্রে দক্ষিন বালুবাড়ীর নিমনগর মৌজায় অবস্থিত। ১৯৫৩ সালে এস এন কলেজের নামে রেজিষ্ট্রিকৃত ১১.৬৫ একর ভূমি যা পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা বিভাগের পক্ষে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের নামে রেজিষ্ট্রকৃত হয়। কলেজের মোট জমি দুই খন্ডে বিভক্ত । খন্ডিত অংশের পরিমান ৪৪ শতাংশ। অন্য অংশের পরিমান ১১.২১। খন্ডিত অংশ কলেজের বিজ্ঞান ভবনের পূর্বাংশে অবস্থিত।
১৯৪১ সালে কলকাতায় যখন ২য় বিশ্বযুদ্ধের ঢেউ আছড়ে পড়ে সে সময় রিপন কলেজের অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নারায়ন ঘোষ দিনাজপুর এসে রিপন কলেজের দিনাজপুর শাখা খেলার প্রাথমিক পদক্ষেপ নেন। ১৯৪২ সালের ১লা জুলাই মহারাজা হাইস্কুলের একটি ভবনে রিপন কলেজ দিনাজপুর শাখা যাত্রা শুরম্ন করে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় কলেজের অধ্যক্ষ সহ শিক্ষকদের বড় অংশ কলকাতায় গমন করলে কলেজটিতে সংকট দেখা দেয়। এ সময় প্রখ্যাত দার্শনিক গোবিন্দ চন্দ্র দেব অধ্যক্ষ দায়িত্ব গ্রহণ করলে যাত্রা শুরম্ন হয় ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরেন্দ্রনাথ কলেজের। ১৯৫৪ সালে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ তার নিজস্ব ভবন বালুবাড়ী মৌজায় স্থানামত্মরিত হয়। ১৯৫৬ সালে সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রীসভার আমলে কলেজটি জাতীয়করনের উদ্যোগ গৃহীত হয়। এসময় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয় কলেজ পরিচালনা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টদের মতামত গ্রহণ করে কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় দিনাজপুর সরকারি কলেজ। ১৯৬৬ সালে কলেজটি সুইহারী মৌজায় স্থানামত্মরিত হলে পুরাতন ক্যাম্পাসের ভাগ্য নিয়ে সংকট দেখা দেয়। এমন সংকটকালে নারীদের জন্য কলেজ স্থাপনের দাবী উঠে জোরালোভাবে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক এ.আর. চৌধুরী স্কয়ার ও তাঁর পত্নী সুলতানা চৌধূরীর দক্ষতা এবং সর্বসত্মরের দিনাজপুরবাসীর ঐকামিত্মক সহযোগীতায় যাত্রা শুরম্ন হয় দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের। মিসেস মাজেদা বেগম ছিলেন সেই সময়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। কিন্তু ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনী কলেজের ভিতরে আর্মি ক্যাম্প গড়ে তুললে নতুন করে সংকটে পড়ে যায় কলেজটি। স্বাধীনতা উত্তরকালে নতুন করে চালু হয় কলেজটি। ১৯৭৯সালে অধ্যক্ষ আতিউর রহমানের প্রচেষ্ঠায় কলেজটির জাতীয়করণ ঘটে। তখন থেকে এর নাম হয় দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ। কলেজটি সরকারিকরণ হলে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন মিসেস ওমেদা বেগম।
|
cÖfvwZ kvLv: 28/11/2021 wLª. mKvj: 10.00 Uv †_‡K 11.30 Uv|
* w`ev kvLv: 28/11/2021 wLª. `ycyi: 12.00 Uv †_‡K 01.30 Uv|
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের নারী শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে তার মধ্যে দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ অন্যতম। এই ঐতিহ্যবাহী কলেজটি আবাসিক সুবিধা সম্বলিত বিধায় দিনাজপুরসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলার মেয়েরা এখানে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এই কলেজটি প্রায় ১২ একর জায়গার উপর স্থাপিত, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত দীর্ঘ প্রাচীর ঘেরা একটি দৃষ্টি নন্দন প্রতিষ্ঠান। মোট ৮ টি বিষয়ে অনার্স কোর্স ও ৩ টি বিষয়ে মাস্টার্স কোর্সসহ বিজ্ঞান, মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও ব্যাবসায় শিক্ষা শাখায় উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক (পাস) পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের সুব্যবস্থা রয়েছে।
এই কলেজের একটি ওয়েবসাইট চালু হতে যাচ্ছে, এজন্য আমি খুবই আনন্দিত । বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির সকল সুযোগ শিক্ষার্থীদের সামনে উন্মুক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের এই ঐতিহ্যমণ্ডিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পরিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ মানুষ হিসাবে গড়ে উঠে দেশ ও জাতিকে সার্বিক সেবা প্রদান করবে এই আমাদের কামনা।
আজকের এই কলেজটি অদূর ভবিষ্যতে একটি অপ্রতিদ্বন্দ্বি মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়ে নারী শিক্ষাক্ষেত্রে এক অনন্য ভূমিকা রাখবে এটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শুভানুধ্যায়ীদেরকে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সুবিধা দিতে পারার অশাবাদ ব্যক্ত করেছি।
এ কলেজের উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি ঘটুক, মহান আল্লাহর কাছে এই কামনা করি।
--- স্বাক্ষরিত ---
প্রফেসর জনাব ফরিদা পারভীন
অধ্যক্ষ
দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ
দিনাজপুর।