১৯৪১ সালে কলকাতায় যখন ২য় বিশ্বযুদ্ধের ঢেউ আছড়ে পড়ে সে সময় রিপন কলেজের অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নারায়ন ঘোষ দিনাজপুর এসে রিপন কলেজের দিনাজপুর শাখা খেলার প্রাথমিক পদক্ষেপ নেন। ১৯৪২ সালের ১লা জুলাই মহারাজা হাইস্কুলের একটি ভবনে রিপন কলেজ দিনাজপুর শাখা যাত্রা শুরম্ন করে। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় কলেজের অধ্যক্ষ সহ শিক্ষকদের বড় অংশ কলকাতায় গমন করলে কলেজটিতে সংকট দেখা দেয়। এ সময় প্রখ্যাত দার্শনিক গোবিন্দ চন্দ্র দেব অধ্যক্ষ দায়িত্ব গ্রহণ করলে যাত্রা শুরম্ন হয় ঐতিহাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সুরেন্দ্রনাথ কলেজের। ১৯৫৪ সালে সুরেন্দ্রনাথ কলেজ তার নিজস্ব ভবন বালুবাড়ী মৌজায় স্থানামত্মরিত হয়। ১৯৫৬ সালে সোহরাওয়ার্দী মন্ত্রীসভার আমলে কলেজটি জাতীয়করনের উদ্যোগ গৃহীত হয়। এসময় তৎকালীন জেলা প্রশাসক মহোদয় কলেজ পরিচালনা পরিষদ, জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টদের মতামত গ্রহণ করে কলেজের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় দিনাজপুর সরকারি কলেজ। ১৯৬৬ সালে কলেজটি সুইহারী মৌজায় স্থানামত্মরিত হলে পুরাতন ক্যাম্পাসের ভাগ্য নিয়ে সংকট দেখা দেয়। এমন সংকটকালে নারীদের জন্য কলেজ স্থাপনের দাবী উঠে জোরালোভাবে। তৎকালীন জেলা প্রশাসক এ.আর. চৌধুরী স্কয়ার ও তাঁর পত্নী সুলতানা চৌধূরীর দক্ষতা এবং সর্বসত্মরের দিনাজপুরবাসীর ঐকামিত্মক সহযোগীতায় যাত্রা শুরম্ন হয় দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজের। মিসেস মাজেদা বেগম ছিলেন সেই সময়ের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। কিন্তু ১৯৭১সালের মুক্তিযুদ্ধে পাক বাহিনী কলেজের ভিতরে আর্মি ক্যাম্প গড়ে তুললে নতুন করে সংকটে পড়ে যায় কলেজটি। স্বাধীনতা উত্তরকালে নতুন করে চালু হয় কলেজটি। ১৯৭৯সালে অধ্যক্ষ আতিউর রহমানের প্রচেষ্ঠায় কলেজটির জাতীয়করণ ঘটে। তখন থেকে এর নাম হয় দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ। কলেজটি সরকারিকরণ হলে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নেন মিসেস ওমেদা বেগম।